About Street Children

Street children are some of the most vulnerable children on the planet

Street Children and Homeless Children – Definitions

 

In everyday speech, people may use lots of different words or terms. ‘Street children’ and ‘homeless children’ or homeless youth  might be used interchangeably, but there are some differences. 

Not all children who are homeless end up living in the open on the street. Many end up sleeping in very inappropriate but out of sight places – on the floors of friends or strangers, or sleeping in temporary accommodation like hostels. For example, the homeless charity Shelter estimated in 2018 that as many as 9,500 UK children have spent their Christmas in a hostel or other temporary accommodation, often with one family in a single room, sharing bathrooms and kitchens with other residents who they don’t know or trust. 

Conversely, not all children who can be described as ‘street children’ are necessarily homeless. They may work, play or spend their time on the street, but may go back to sleep with their family or parents.

We use the term ‘street children’ or ‘street-connected children’ to describe children who:

  1. Depend on the streets to live and / or work, either on their own, or with other children or family members; and
  2. Have a strong connection to public spaces (e.g. streets, markets, parks, bus or train stations) and for whom the street plays a vital role in their everyday lives and identities. This wider group includes children who do not live or work on the street but regularly accompany other children or family members in the streets. 

In other words, ‘street children’ are children who depend on the streets for their survival – whether they live on the streets, work on the streets, have support networks on the streets, or a combination of the three. 

What is streetism?

If you have been researching the topic of street children, you might have come across the term ‘streetism.’ 

Streetism’ is a relatively new term which means “living on the streets or being of the streets”. It is sometimes used to describe the street children especially in Anglophone Africa.

কেন সমাজের কিছু শিশু রাস্তায় বাস করে বা পথেই জীবিকা নির্বাহ করে?

উত্তরটি সহজ নয়। পৃথিবীতে যত পথশিশু আছে, ঠিক ততগুলোই কারন আছে এই শিশুদের পথে বা রাস্তাঘাটে থাকার। পথে থাকার পেছনে প্রতিটি আলাদা শিশুর জীবনে আলাদা ঘটনা আছে। এই শিশুদের রাস্তার সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার মূল কারণ দেশ থেকে দেশে, শহর থেকে শহরে এবং প্রত্যেকটি শিশুর ক্ষেত্রে আলাদা।

সময়ের সাথে সাথে এই শিশুদের পথে থাকার কারণগুলিও পরিবর্তিত হয়  — যেমন দারিদ্র্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুতি এবং পারিবারিক দ্বন্দ্ব বা ভাঙ্গন। এসবই একটি নির্দিষ্ট এলাকায় পথশিশুদের সংখ্যা বৃদ্ধির কারন হিসেবে কাজ করে।

পথশিশুদের এমন অবস্থার জন্য অর্থনৈতিক দারিদ্র্য প্রধান ভূমিকা পালন করে, যদিও অন্যান্য কারণগুলি সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে পিতা-মাতার মৃত্যু, পিতা-মাতার অবহেলা এবং অন্যান্য সামাজিক কারণ যেমন পারিবারিক নির্যাতন বা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা।

বৈষম্য, ন্যায়বিচার ও আইনের কাছে দ্বারস্থ হওয়ার কঠিন পথ, তাদের আইনি অবস্থান চিন্তিতকরণের অভাব (যেমন জন্ম নিবন্ধন না থাকা) সবই এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টিতে অবদান রাখে যেই অবস্থায় একটি শিশু পথশিশুতে পরিনত হয় এবং রাস্তায় বাস করে অথবা কাজ করে বেঁচে থাকে।

আমরা দেখেছি যে শিশুরা যেসব বিভিন্ন কারনে পথে তাদের জীবন শুরু করে, তাদের মধ্যে অন্যতম কারনগুলো হচ্ছে —

  • যৌন, শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন
  • শহুরেকরন
  • এইডস / এইচআইভি
  • অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়তে বাধ্য করা
  • কথিত ‘নৈতিক’ কারনে পরিবার থেকে দূরত্ব
  • মানসিক স্বাস্থ্য জনিত কারন
  • মাদক সেবন
  • যৌনতার ভিন্নতা ও লিঙ্গ পরিচয়

এই ব্যাপারটায় কোন সন্দেহ নেই যে শিশুদের পথে ঠেলে দেয়ার পেছনে কিছু মৌলিক কারন আছে এবং তাদের বর্তমান অবস্থা গভীরভাবে বুঝতে হলে প্রত্যেকটি শিশুকে একেকজন আলাদা ব্যক্তি হিসেবে চিন্তা করার মাধ্যমে তাদের বর্তমান অবস্থার পেছনের ঘটনাগুলো বিবেচনায় নিতে হবে।

সারাবিশ্বে পথশিশুর সংখ্যা কত?

এই প্রশ্নের উত্তর খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারন এই উত্তরের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন দেশের সরকার পথশিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বরাদ্দ করতে পারবে। সাধারণত ধরে নেয়া হয় সারাবিশ্বে ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটি পথশিশু আছে। এই অনুমানকৃত সংখ্যাটি ১৯৮৯ সালে প্রকাশিত এবং এত বছরের পর এই সংখ্যাটি নিঃসন্দেহে পুরানো হয়ে গিয়েছে। বাস্তব সংখ্যাটি আমাদের অজানা।

কেন আমরা এখনো সারাবিশ্বে পথশিশুদের বাস্তব একটি সংখ্যা জানি না? এর কারন পথশিশুদের সংখ্যা ধারনা করা এবং গগনা করা খুবই কঠিন একটি কাজ।

১। পথশিশুরা এক ধরনের গতিশীল ও ভাসমান হয়ে থাকে তাই তাদের সাথে তাল মেলানোর জন্য আদমশুমারি ছাড়াও আলাদা ধরনের নির্দিষ্ট গবেষণা পদ্ধতি অবলম্বন করা দরকার।

২। ধারনা করা সংখ্যা বা গণনা করা সংখ্যা একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে স্থির থেকে গণনা করা হয়। এজন্য ফলাফল যাই আসুক, কখন এই হিসাব করা হয়েছে তা আমলে না নিলে ফলাফলটি ভুল হতে পারে। পথশিশুদের সংখ্যা আবহাওয়া বা ঋতু পরিবর্তনের সাথে ওঠানামা করতে পারে অথবা সরকার বড় কোন অনুষ্ঠান বা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বা বৈশ্বিক সম্মেলনের আগে পথশিশুদের সরিয়ে দিলে

পথশিশুদের সঠিক সংখ্যা পাওয়া কঠিন হয়ে যায়।

৩। হিসাব করার জন্য পথশিশুদের প্রায়শই চোখের সামনে পাওয়া যায় না – যদিও গবেষকরা অনেক সময় রাস্তায় থাকা শিশুদের একটি ছবি তুলে নিতে পারলেও, তারা সেই একই সময় বাড়ির ভিতরে থাকা শিশুদের ছবি তুলতে পারেন না।

৪। পথশিশুদের একটা অংশকে রাস্তায় দেখা নাও যেতে পারে, যেমন মেয়ে শিশুদের বা প্রতিবন্ধী শিশুদের।

৫। পথশিশুরা প্রচন্ড ভয় এবং লজ্জা অনুভব করে এবং তারা তাদের গণনা করার প্রচেষ্টার বিষয়টা ভালোভাবে দেখে না, তাই এই গণনার প্রশ্নে এক ধরনের সন্দেহ পোষণ করে। তাদের গণনা করার ফলে তাদের সাথে নেতিবাচক কিছু হতে পারে এই ভয় পায় এবং এই কারনে তারা লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করে।

এই ধরনের সমস্যা থাকা সত্ত্বেও, পথশিশুদের নির্ভরযোগ্য সংখ্যা এবং তাদের জীবনের বাস্তবতা বুঝতে পারার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পথশিশুদের জন্য কাজ করা সংস্থাগুলোর তাদের প্রোগ্রামগুলোকে আরও ভালভাবে তৈরি করার জন্য সঠিক ও নির্ভুল তথ্যের প্রয়োজন। দাতাগোষ্ঠীদের আরো তথ্য প্রয়োজন যেন তারা পথশিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং ন্যায়বিচারের পাওয়ার অধিকারের জন্য তৈরি তহবিল  সঠিকভাবে পৌঁছাতে পারে।

বিভিন্ন দেশের সরকারেরও পথশিশুদের সঠিক তথ্যের প্রয়োজন যেন তারা শিশু অধিকার কনভেনশন এবং এই কনভেনশনের নির্দিষ্ট নির্দেশিকা, জাতিসংঘের জেনারেল কমেন্ট ২১ এর অধীনে এই শিশুদের জন্য তাদের বাধ্যবাধকতাগুলি পূরণ করার জন্য যা যা বরাদ্দ প্রয়োজন তা যেন করতে পারে।

কনসোর্টিয়াম ফর স্ট্রিট চিলড্রেন বর্তমানে পথশিশুদের সংখ্যা গণনা এবং অনুমান করার পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করছে যার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে একটি আদর্শ পদ্ধতির বিকাশ নিয়ে যা পথশিশুদের সংখ্যার তথ্যকে আরও সঠিক, সমষ্টিগত এবং তুলনামূলক করার জন্য বিভিন্ন সেক্টরে ব্যবহার করা যেতে পারে।

শিশুদের রাস্তায় থাকার ঝুঁকি কি?

এই পথ শিশুদের  রক্ষা করার দায়িত্ব যাদের রয়েছে তাদের দ্বারা কোন শিশুর কখনও ক্ষতি করা উচিত নয়।

যে কারনে শিশুদের বাড়ি থেকে জোর করে সরিয়ে দেওয়া উচিত নয় এবং তাদের “নিজেদের ভালোর” জন্য আটকে রাখা উচিত নয়, ঠিক একই কারনে শিশুদেরকে কোনো সুরক্ষা বা ন্যায়বিচারের আশ্রয় ছাড়াই বিপদের মুখে ফেলে রাখাও গ্রহণযোগ্য নয়।

অনেক পথশিশুই প্রতিদিন প্রাপ্তবয়স্কদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার মধ্যে সরকারী কর্মকর্তা এবং পুলিশ, অন্যান্য শিশু এবং এমনকি তাদের নিজের পরিবারও রয়েছে। তারা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা থেকেও বঞ্চিত, যা তাদের অধিকার। যদি একটা দেশের আইন ভিক্ষা করা বা ভবঘুরে হওয়াকে অপরাধ বলে গণ্য, তবে এই পথশিশুরা কেবল বেঁচে থাকার চেষ্টা করার জন্য জেলে যেতে পারে।

পথশিশুরা সহিংসতার শিকার হয়

সেসব শিশু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে — যাদের জন্ম নিবন্ধন না নেই বা কোন বড় মানুষ (প্রাপ্তবয়স্ক) তাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো অবস্থানে নেই বা উপযুক্ত আশ্রয় না থাকার কারণে তারা নির্যাতনের শিকার হতে পারে এবং যারা জানে তাদের পরিবার বা আইন এর মাধ্যমে কোনো সুরক্ষা পাওয়ার উপায় নেই নেই অর্থাৎ ন্যায়বিচার পাওয়ার রাস্তা বলতে গেলে বন্ধ। এসব শিশুরা ছিনতাই বা মারধরের শিকার হয় অথবা এদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়, এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী বা সরকারী কর্মকর্তাদের দ্বারাও এই শিশুরা হয়রানির শিকার হয়।

পথশিশুরা বদলোকদের লক্ষ্যবস্তু

পথশিশুরা বদলোকদের দ্বারা অনেক ধরনের শোষণের শিকার হয়। বদলোক বলতে তাদের বোঝানো হচ্ছে যারা এই পথশিশুদের যৌন নিপীড়ন করতে পারে, তাদের জোরপূর্বক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে নিয়োগ করতে পারে, তাদের পাচার করতে পারে এবং ভিক্ষা করতে বা চুরি করতে রাস্তায় ঠেলে দিতে পারে।

পথশিশুরা গ্যাংগুলোতে ঢুকে পড়তে পারে

অনেক পথশিশুদের জন্য রাস্তার গ্যাংগুলি ‘সারোগেট পরিবার’ হিসাবে কাজ করে। এই গ্যাংগুলো তাদের বাইরের সহিংসতা বা হয়রানি থেকে রক্ষা করে এবং নানা সহায়তা প্রদান করে থাকে। তবে এটি পথ শিশুদেরকে হিংসাত্মক অপরাধমূলক কার্যকলাপ এবং মাদকের ব্যবহারের দিকে আকৃষ্ট করে।

পথশিশুরা মাদকে আসক্ত হতে পারে

যদিও সমস্ত পথশিশু মাদকাসক্ত হবে এই ধারনাটি ভুল, কিছু পথশিশু রাস্তায় জীবনযাপন, মানসিক আঘাত, অসুস্থতা, ক্ষুধা, কলঙ্ক এবং বৈষম্যের বাস্তবতা মোকাবেলা করার জন্য মাদক ব্যবহারে জড়িত হয়ে পড়ে। যে শিশুরা এখনও শারীরিক ও মানসিকভাবে বিকাশ লাভ করছে করে সেই বয়সে দীর্ঘমেয়াদী মাদকের ব্যবহার প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে।

পথশিশুরা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে পারে

যদিও অনেক পথশিশু অকথ্য কষ্টের মুখে অবিশ্বাস্য রকমের সহনশীলতা দেখায়, অনেক গবেষণায় দেখা যায় যে তাদের সুস্থতার অনুভূতি সাধারণত কম। পথশিশুরা প্রায়শই হতাশা, উদ্বেগ এবং ট্রমাতে ভোগে, যা তাদের পরবর্তীতে নেশা জাতীয় দ্রবের অপব্যবহার এবং আত্মহত্যার ঝুঁকির দিকে নিয়ে যেতে পারে।

পথশিশুরা যে অপমান এবং তাদের প্রতি সমাজের মুখ ফিরিয়ে নেয়ার যে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয় তা তাদের মানসিক সুস্থতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই অভিজ্ঞতা দেশ ভেদে ভিন্ন হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে মরক্কোর পথশিশুদের চারিদিকে দুর্নীতি ও সহিংসতা থাকলেও এই পথশিশুরা কিন্তু সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে না। অন্যদিকে নেপালের গবেষণায় দেখা গেছে যে পথশিশুরা নিজেদের সম্পর্কে দৃঢ় নেতিবাচক ধারনা পোষণ করে এবং তাদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি আপন করে নিয়ে তারা নিজেদের অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করে।

পথশিশুরা গৃহহীন হওয়া বা জন্মের সময় নিবন্ধিত না হওয়ার উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা বৈষম্যমূলক আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে শাস্তি পেতে পারে

আমাদের গবেষণায় দেখা যায় যে বিচার ব্যবস্থার আওতায় আসা পথশিশুদের অধিকাংশই বিদ্যমান আইন ব্যবস্থার সাথে এক ধরনের কল্পনাপ্রসূত মুখমুখি অবস্থানে থাকে (ভিক্ষা করে, ভবঘুরে, বাণিজ্যিকভাবে যৌন ব্যবসার শিকার, অস্বচ্ছলতা বা বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে এমন) অথবা এরা এমন শিশু যাদের তাদের “নিজেদের সুরক্ষার জন্য” আটক করা হয়েছে অপরাধমূলক কার্যকলাপ করার সন্দেহে নয়। এই শিশুদের যত্নের প্রয়োজন।

অনেক দেশে, পথশিশুদের সামান্য সব অপরাধের জন্য অপরাধী করা হয়, অর্থাৎ একটি অ-অপরাধমূলক কাজ যা শুধুমাত্র একজন মানুষের বয়স কম হওয়ার কারণে আইন লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কিছু দেশে শিশুদেরকে আটক করা হতে পারে শুধু মাত্র রাস্তায় অবস্থান করার কারণে।